জাতীয় গ্রন্থাগার (ভারত)
UNESCO –র মতে ‘কোনোদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সেই দেশের পুস্তক প্রকাশনার সংগ্রহ গড়ে তোলা ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দায়বদ্ধ’ ।
জাতীয় গ্রন্থাগার ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার তথা দেশের সরকারি দলিলের রক্ষণাগার। এই গ্রন্থাগারটি কলকাতার আলিপুরে (বেলভেডিয়ার এস্টেটে) অবস্থিত।
ইতিহাস:-
১৮৩৬ সালে ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি নামে প্রথম এই গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯১ সালে কলকাতার একাধিক সচিবালয় গ্রন্থাগারকে একত্রিত করে গঠিত হয় ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি।
১৯০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি লর্ড কার্জনের প্রচেষ্টায় ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরি ও ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরিকে সংযুক্ত করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সংযুক্ত লাইব্রেরিটি ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি নামেই পরিচিত হয়।
স্বাধীনতার পর ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নতুন নামকরণ হয় জাতীয় গ্রন্থাগার বা ন্যাশানাল লাইব্রেরি। ১৯৫৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ জাতীয় গ্রন্থাগারকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
Delivery of Books Act (1954) এর নিয়ম অনুযায়ী ভারতবর্ষে প্রকাশিত সকল প্রকার বই সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয় জাতীয় গ্রন্থাগারে । এছাড়া বিভিন্ন প্রকার পুস্তক ক্রয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে । জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের গ্রন্থ, সাময়িক পত্র, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, মানচিত্র, পাণ্ডুলিপি, audio visual, microfilm, ইত্যাদি ।
Leave a Reply