ACADEMIC LIBRARY

Spread the love

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রন্থাগার

একাডেমিক গ্রন্থাগার গুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় –

  1. স্কুল গ্রন্থাগার
  2. কলেজ গ্রন্থাগার
  3. বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার

স্কুল গ্রন্থাগার  -স্কুল গ্রন্থাগার শিশুদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং তাদের অপুষ্ট মনকে আলোকিত করে । প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের লক্ষ্য হল বই এর প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলা, বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা । মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার শিক্ষক ও  ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্য পুস্তকের যোগানদেয় এবং গ্রন্থাগার ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে । 

মহাবিদ্যালয় / কলেজ গ্রন্থাগারকলেজ গ্রন্থাগার যুব ছাত্রদের বিভিন্ন বিষয় ভালোভাবে বুঝতে, উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে এবং ভবিষ্যৎ জীবনে দায়িত্ববান নাগরিক হতে সাহায্য করে । কলেজ গ্রন্থাগারের প্রধান কাজ হল সব ধরনের ব্যবহারকারীর সব রকম বৈধ চাহিদা পূরণ করা এবং গবেষকদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য উপকরণ প্রদান করা ।

বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগাররাধাকৃষ্ণন কমিশন তাদের প্রতিবেদনে গ্রন্থাগারকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদয়’ বলে প্রশংসা করেছেন । বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের প্রধান কাজ হল জ্ঞানের সংরক্ষন, জ্ঞানের পরিবর্ধন (গবেষণা), জ্ঞান বিতরণ (শিক্ষাদান)।

বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে কেবল পাঠ্য ও পাঠ্য সহায়ক উপকরণই থাকে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স সামগ্রীসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য উপকরণ সংগ্রহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে অন্যতম উদ্দেশ্য হল গবেষকদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চায় অগ্রসর পর্যায়ে সহায়তা জোগানো।

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য – 1.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচী ও সদস্যদের সাংস্কৃতিক ও সাধারণ শিক্ষা বিষয়ক প্রয়োজন মেটানো। 2.উপযুক্ত পর্যায়ে সহায়কারী উপাদান সরবরাহ করা। 3.ব্যবহারকারীদের পাঠ্যসূচী অনুযায়ী পুস্তক যোগান দেওয়া। 4.বিভিন্ন ধরণের ব্যবহারকারীদের বই ঋণ দেবার ব্যবস্হা করা। 5. গ্রন্থাগারের ব্যবহার বিধি সম্বন্ধে অবগত করা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*