দার্শনিক কাজী নজরুল ইসলাম

Surajit Sajjan
Spread the love

দার্শনিক নজরুল

দার্শনিক ভাবনায় কাজী নজরুল ইসলাম প্রকৃতপক্ষে দার্শনিকতা বলতে যা বোঝায় সেই রকম কোন আগ্রহ কাজী নজরুল ইসলাম তিনি সাহিত্য সংগীতে সৃষ্টি করেছেন এই প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয় তা হলো ভারতবর্ষের ইতিহাস।

দারিদ্র তাকে জয় করে সাহিত্য সৃষ্টি বিজ্ঞান জগতে অনন্য অবদান রেখে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক প্রতিভার বিকাশ হয়েছে কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম যে দারিদ্রতা যে পরিবেশ প্রতিকূলতাকে জয় করেছেন তার উদাহরণ প্রায় পাওয়া যাবে না বললেই চলে এমন পরিস্থিতির মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা থেকে শুরু করে সামনের জয় গান গেয়েছেন

দর্শন ও সাহিত্য

কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলা দর্শন ও সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। মানবতাবাদ, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং যুক্তিবাদ, সাহিত্য থেকে নিঃসৃত তাঁর দার্শনিক তত্ত্ব। অন্যায়, সাম্প্রদায়িকতা, এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ভাষা দ্বারা আচ্ছন্ন তাঁর সাহিত্য। মানবতার প্রতি গভীর ভালবাসা এবং সত্যের প্রতি অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে তার সামগ্রিক কাজে।

নজরুলের কবিতা ও গদ্য, ধর্মীয় ও সামাজিক বিভেদ অতিক্রম করে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ভণ্ডামিকে নিন্দা করে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে আজও। ব্যক্তিগত কষ্ট এবং প্রতিকূল জীবনের অভিজ্ঞতায় নিহিত তাঁর সাহিত্য ন্যায় ও সাম্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। আজও, নজরুলের উত্তরাধিকার নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রেরণা যোগায় এবং মানবপ্রেম ও সম্প্রীতির আদর্শ প্রচার করে।

দার্শনিক তত্ত্ব

এখানে, প্রোটাগোরাসের বিখ্যাত উক্তি লক্ষণীয়: “মানুষই সব কিছুর পরিমাপক।” ধর্মীয় মানবতাবাদে, নজরুল ইসলামের মানবতাবাদের মূল ফোকাস মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা এবং যুক্তিবাদী চিন্তার উপর। মানব প্রেম মানে মানবতাকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া, এবং মানবতার চেয়ে বড় কোন সত্য নেই – এই বক্তব্যটি তার চূড়ান্ত লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।

তিনি মানবতাকে সকল প্রকার দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। 1941 সালে কলকাতার মুসলিম ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল মুসলিম লিটারারি সোসাইটির রজত জয়ন্তীতে সভাপতির ভাষণে কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, “হিন্দু ও মুসলমান আমার পরম সৌন্দর্য।” আবদুল মান্নান সৈয়দ: পূর্বে উল্লেখিত, পৃ. 565।

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় মানবিক চেতনার প্রকাশ বা সত্যের সন্ধান তার “সাম্যবাদী” (1925), “সর্বহারা” (1926), “ফণিমনাসা” (1927), এবং “প্রলয়শিখা” (1927) এর মধ্যে স্পষ্ট। 1930)। এসব কবিতায় তিনি সকল সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। নজরুলের বক্তৃতার মূল বিষয়বস্তু মানবপ্রেম।

About Surajit Sajjan 59 Articles
Surajit Sajjan M.A B.Ed Assistant Teacher (HS School)

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*