তর্কসংগ্রহ অনুসারে করনের লক্ষণ ব্যাখ্যা কর। এই লক্ষণটি অতিব্যাপ্তি দোষরহিত কিনা আলোচনা করো।
or
ব্যাপার কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার ব্যাপার কি কি ? করণ ও ব্যাপার এর মধ্যে কি পার্থক্য আছে?
করণের লক্ষণ
করণের লক্ষণ: তর্কসংগ্রহ গ্রন্থে করণের লক্ষণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “অসাধারনং কারনং করণম” অর্থাৎ অসাধারণ কারণ কে করণ বলা হয়। কার্যের উৎপত্তিতে যে কারণটি অসাধারণ বা সাধকত্বম হয় তাই হলো করণ। ন্যায় বৈশেষিক মতে কোন কার্য একটি কারণে দ্বারা সম্পন্ন হয় না। কার্যের উৎপত্তিতে যেসকল কারণ থাকে সেগুলো কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- সাধারণ কারণ ও অসাধারণ কারণ।
যেকোনো কার্যের উৎপত্তিতে যে কারণগুলি অপেক্ষিত হয় সেগুলি হল সাধারণ কারণ। যেমন ঈশ্বর,কাল প্রভৃতি। এগুলি সমস্ত কার্যের উৎপত্তিতে বর্তমান থাকে। এই সাধারণ কারণ ভিন্ন যে কারণ, তাই হল অসাধারণ কারণ।
করণের লক্ষণে অতিব্যাপ্তি নিষেধের জন্যই ‘অসাধারণ’ শব্দটি করনের লক্ষণে প্রযুক্ত হয়েছে। করণের লক্ষণে এই ‘অসাধারণ’ শব্দটি না থাকলে আকাশ,কাল,দিক প্রভৃতি সাধারণ কারণে লক্ষণটি অতিব্যাপ্তি হত।এই কারণেই করণের লক্ষণে ‘অসাধারণ’ শব্দটি দেওয়া হয়েছে।
করণ ও ব্যাপার
করণ ও ব্যাপার: এখানে উল্লেখ্য যে করণের লক্ষণে ব্যবহৃত ‘অসাধারণ’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ কি সে বিষয়ে অন্নংভট্ট কোন ব্যাখ্যা দেননি। সাধারণত ‘অসাধারণ’ এই শব্দটি ন্যায়-বৈশেষিক দর্শনে দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রথম অর্থে: অসাধারণ কারণ বলতে ব্যাপারবৎ কারণকে বোঝায়।”ব্যাপারবৎ কারনং করণম” এখানে ব্যাপার শব্দের অর্থ হলো, যে তজ্জন্য অথচ তজ্জন্যের জনক, তাকেই ব্যাপার বলা হয়।
“তজ্জন্যতে সতি তজ্জন্য জনকত্বম” যে কারণের দ্বারা উৎপন্ন হয় এবং ওই কারণের দ্বারা উৎপন্ন কার্যের জনক হয় তাকেই ব্যাপার বলে। যেমন ঘটাত্মক কার্যের প্রতি দণ্ড ,চক্র প্রভৃতি কারণের ব্যাপার হল কপালদ্বয় সংযোগ। এই কপালদ্বয় সংযোগ দন্ড চক্র প্রভৃতি কারণে দ্বারা উৎপন্ন হয় এবং ওই কারণগুলির দ্বারা উৎপন্ন ঘটেরও জনক হয়।
ব্যাপার শব্দের পারিভাষিক অর্থ হয় কোন কাজের অন্তিম বা অব্যবহিত পূর্বক্ষণবর্তী কারণই অন্য কারণের ব্যাপার হয়।
এইজন্য অন্তিম কারণ ভিন্ন অন্যান্য কারণ কে ব্যাপারবৎ বলা হয়। সহজ করে বললে ব্যাপারটা দাঁড়ায় যেটি কার্যের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে কারণ না হয়ে ব্যাপার ঘটিত সম্বন্ধে ব্যাপার এর মাধ্যমে কারণ হয় ,তাকেই ব্যাপারবান কারণ বলা হয়। অর্থাৎ ব্যাপারবৎ কারণ হলো সেই কারণ, যা অন্য কারোর মাধ্যমে কার্য উৎপন্ন করে। সুতরাং প্রথম মত অনুসারে বলা যায় যে ব্যাপারবৎ কারনই হল করণ।
অসাধারণ শব্দের দ্বিতয় অর্থটি হলো
অসাধারণ শব্দের দ্বিতয় অর্থটি হলো “ফোলাযোগ ব্যবচ্ছিন্নত্ব” অর্থাৎ যে কারণটি উপস্থিত থাকার সাথে কার্যটি সম্পন্ন হয়। তাকেই অসাধারণ কারণ বলা হয়। “ফোলাযোগ ব্যবচ্ছিন্নত্ব কারনং করণম” এই অর্থে করণ বলতে সেই কারণ কে বোঝায় যার অনুপস্থিতিতে কার্যটি ঘটে না।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে গোবর্ধন মিশ্র তর্কসংগ্রহ-এর উপর রচিত তার ‘ন্যায় বোধিনী’ তে মন্তব্য করেছেন যে তর্কসংগ্রহ-এ অসাধারণ কারণকে যে করণের লক্ষণ বলা হয়েছে তার সাথে আরও একটি বাক্য যোগ করা প্রয়োজন সেটি হল – অসাধারণ কারণ যদি অপর কিছুর মাধ্যমে কার্য উৎপন্ন করে (ব্যাপারবৎ সতি )এইরূপ বলা না হলে তন্তু সংযোগ বা কপাল সংযোগস্থলে করণের লক্ষণটি অতিব্যাপ্তি হবে।
যদিও তারা বস্ত্র বা ঘটের অসাধারণ কারণ বলে স্বীকৃত, তবুও অনেকেই তন্তু সংযোগ বা কপাল সংযোগকে বস্ত্র বা ঘট কার্যের করণ বলে স্বীকার করেন না। সুতরাং তারা এই অতিব্যাপ্তি দোষ দূর করার জন্য করনের লক্ষণ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ব্যাপারবৎ অসাধারনং কারনং করণম” যদিও তন্তু সংযোগ বস্ত্র রূপ কার্যের অসাধারণ কারণ তবুও এটি এমন একটি কারণ যা অপর কোনো মাধ্যম ছাড়াই কার্য উৎপন্ন করে।
অতএব সেটা কারণ নয়।
অন্নংভট্ট অসাধারণ শব্দটিকে ঠিক কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। আমাদের মনে হয় বিভিন্ন প্রমাণের আলোচনায় তিনি অসাধারণ শব্দটির দুটি অর্থকেই গ্রহণ করেছেন।
প্রত্যক্ষ প্রমাণ এর ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ শব্দটির ‘ব্যাপারবৎ কারণ’ এই অর্থ টি গ্রহণ করেছেন, যেহেতু তিনি ইন্দ্রিয়কে প্রত্যক্ষের করণ এবং সন্নিকর্ষকে ব্যাপার বলেছেন। অন্যদিকে অনুমান প্রমাণ এর ক্ষেত্রে তিনি “ফলাযোগ ব্যবচ্ছিন্নত্বম কারণম” এই অর্থ টি গ্রহণ করেছেন। কারণ তিনি লিঙ্গ পরামর্শকে অনুমিতির করণ বলেছেন। লিঙ্গ পরামর্শের জ্ঞান হওয়ার সাথে সাথেই অনুমতি উৎপন্ন হয়।
There’s certainly a great deal to learn about this issue. I love all the points you’ve made.
Hi there to every body, it’s my first visit of this
web site; this website carries amazing and in fact good stuff designed for readers.
Feel free to surf to my web site cbd capsules for pain (Rita)